প্রকাশিত: ১৯/০৩/২০১৮ ৭:৩৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১৬ এএম

নিউজ ডেস্ক::
আফরিন যুদ্ধে বিজয়ের পতাকা এখন এরদোগানের হাতে রয়েছে। তুর্কি সমর্থিত সৈন্যরা সিরিয়ান-কুর্দি শহর আফরিন শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

রবিবার শহরের কেন্দ্রস্থলের দখল নেয়ার পর সৈন্যরা তুর্কি তাদের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করেন এবং বুলডোজার দিয়ে একজন কুর্দি নেতার মূর্তি গুঁড়িয়ে দেন।

দুই মাসের তুর্কি নেতৃত্বাধীন অভিযানের লক্ষ্য ছিল সীমান্ত এলাকা কুর্দিশ মিলিশিয়াদের তাড়িয়ে দেয়া। তুরস্ক কুর্দিদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

এই অভিযানে এপর্যন্ত ২৮০ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করেছেন। যদিও আঙ্কারা এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে।

এর আগে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ঘোষণা করেছিলেন যে ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সৈন্যরা রবিবার সকালে আফরিনের কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে’।

আফরিনের অন্যত্র অবশিষ্ট কুর্দি বিদ্রোহের প্রতিরোধ করতে এবং সেখানকার সুড়ঙ্গগুলো পুরোপুরি সন্ত্রাসীমুক্ত করতে রবিবারও অপারেশন অব্যাহত ছিল।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘বেশিরভাগ সন্ত্রাসীই ইতোমধ্যে তাদের লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আফরিনের মূলকেন্দ্রে সন্ত্রাসীদের ছেঁড়া জামাকাপড়ের পরিবর্তে এখন বিশ্বাস ও স্থায়িত্বের পতাকা উড়ছে।

ছবি এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সৈন্যরা একটি বুলডোজারের সাহায্যে কুর্দিদের একজন নেতার মূর্তি গুড়িয়ে দিচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভটি কুর্দিদের কিংবদন্তি নেতা কাওয়ারেরে ছিল।

কুর্দি-শাসিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক বাহিনীর ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ গ্রুপের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, আফরিনের অধিগ্রহণের পর থেকে কুর্দি জনগণের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের ওপর এই প্রথম অশোভন লঙ্ঘন।’

তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী তাদের টুইটার পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায়, আফরিনের মূলকেন্দ্রে তুর্কি সৈন্যবাহিনী তাদের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করছেন।

তুর্কি সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-হামেদেন বলেন, তারা তিনটি ফ্রন্টে আফরিনে প্রবেশকালে তারা কোনো ধরনের প্রতিরোধের সম্মুখীন হননি।

তবে, ব্রিটিশ-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, তুর্কি ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যোদ্ধারা রবিবার সকালে শহরটির অর্ধেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে।

তুরস্ক মনে করে যে ওয়াইপিজি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি বর্ধিত অংশ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পিকেকে তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিশ অঞ্চলে ভয়াবহ বিদ্রোহ সৃষ্টি করে চলেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহী দল কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক সেনাবাহিনী। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আফরিন থেকে কুর্দিস পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) বিতাড়িত করতে স্থল ও আকাশ পথে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী। এর পর থেকে দেশটি ২৬৪ স্থানকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...